
প্রকাশিত: Fri, Mar 24, 2023 10:28 PM আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 5:27 PM
শামীম শিকদারের স্মৃতি এবং ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’
সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু : সদ্যপ্রয়াত ভাস্কর, অধ্যাপক শামীম শিকদারকে টিএসসির সড়কদ্বীপের দক্ষিণপ্রান্তে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ চোখের সামনে নির্মাণ করতে দেখেছি। ভাস্কর্যের পেছনে ছিল ডাস। সেকালের দাপুটে ছাত্রনেতা তকদির হোসেন মো. জসিম ছিলেন ডাসের মালিক। টিএসসির সড়কদ্বীপে তখন পোড়ামাটির টাইলস, সিমেন্ট পরেনি। পুরো সড়কদ্বীপটি ছিল সবুজ ঘাসে ছাওয়া। বন্ধু, সহপাঠীরা মিলে সেই সবুজদ্বীপে বসে অসংখ্য দিন, বিকেল, সন্ধ্যায় আড্ডা দিয়েছি, চা-সিংগারা খেয়ে সময় পার করেছি।
১৯৮৮ সালে ভাস্কর শামীম শিকদার ডাসের পেছনে উত্তরদিকে মুখ রেখে নির্মাণ শুরু করেন ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যটি। প্রখর রোদে, কিংবা বিকেলে বসে বসে তাঁর কাজ দেখতাম। সেই প্রথম তাঁকে সামনে থেকে দেখা। স্বোপার্জিত স্বাধীনতা নির্মাণের সময় শামীম শিকদারের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই চাঁদের মতো ফুটফুটে ৫/৬ বছরের একটি শিশু আসতো, সড়কদ্বীপে খেলতো। দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে হতো। কৌতূহল ছিলো শিশুটি তার কে হয়, সেটা জানার। কিন্তু সাহস পেতাম না। আজও জানি না শিশুটি কার।
শামীম শিকদার ছিলেন গম্ভীর প্রকৃতির নারী। সাহস না পাবার আরও কারণ ছিল। তিনি ছিলেন পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি নেতা সিরাজ সিকদারের বোন। ৬ ফুটের মতো লম্বা, পেটা শরীরের মানুষ। সে সময়ের জিনসের প্যান্ট-শার্ট পরা, হাতে জ্বলন্ত সিগারেট আর কুংফু, কারাতে জানা নারীর সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার জন্য বাড়তি যে সাহস লাগে, সেটা আমার ছিলো না। এখন কেমন আছে জানি না। ৬/৭ বছর আগে সড়কদ্বীপের ডাসে গিয়েছিলাম। ডাসের সেই স্নিগ্ধ রূপ ছিল না, টিএসসির সড়ক দ্বীপে ঘাস ছিল না, ছিল ভাঙাচোরা টাইলস আর কাদামাটির বিশ্রিরূপ। সড়কদ্বীপের আয়তনও মনে হয় অনেক ছোট হয়ে গেছে। চিরবিদায়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি শামীম শিকদারকে। ফেসবুক থেকে
.
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
